গান্ডীবের টংকার
মহাভারতে অভিমন্যুর চক্রব্যূহের কথা আমরা জানি। চক্রব্যূহ থেকে বেরুনোর রাস্তা না জানায় অভিমন্যুকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। আমরাও জীবনের চক্রব্যূহে ঘুরেই চলেছি, দিশাহীন পথভ্রষ্ট। কে দেখাবে আমাদের আলোর পথ, চক্রব্যূহের বাইরের রাস্তা।
চক্রব্যূহে অভিমন্যু ছিল একা
চক্রান্ত করে ঘিরে ফেলা হয়েছে তাকে,
বেরুবার পথ ছিল তার অজানা
কোনও সহযোদ্ধা ছিল না তার সাথে।
বীরদর্পে যুদ্ধ করেছে সে বালক
তাকে ঘিরে ছিল হিংস্র হায়নার দল,
একা যুদ্ধে ভয় পেয়েছিল কাপুরুষেরা
হত্যা করল তাকে দলবদ্ধভাবে ,
সেই মেরুদন্ডহীন নপুংসকের দল।
হত্যার কান্ডারী ছিল জয়দ্রথ
বালকের রক্তে রক্তাক্ত করেছে হাত,
শোকার্ত অর্জুনের গান্ডীবের টংকারে
ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে লুকায় সবার মাঝে।
নিস্তার তো পায়নি জয়দ্রথ
শিরশ্ছেদ হয়েছিল অর্জুনের বাণে ,
কৌরব বংশ হয়েছিল ধ্বংস
ন্যায়ের কেতন উড়েছিল যে আবার।
এ ঘটনা আদিকালের কথা বলে
সততার সেখানে জয় হয়েছিল শেষমেষ,
এখন দুনিয়া ভরে গেছে চক্রব্যূহে
অভিমন্যুরা হারিয়ে গিয়েছে কোন তিমিরে।
শঠতা হিংসায় ভরে গেছে চারিদিক
খুব দরকার অর্জুনের গান্ডীবের টংকার,
সারথী কৃষ্ণ আর একবার এস তুমি
অর্জুনকে আজ ভীষণ দরকার।