গর্ভগৃহ
বেদনার গর্ভগৃহ থেকে
বেড়িয়ে আসা একরাশ হতাশাকে আকঁড়ে ধরে
কেটে গেল হাজারো জীবন।
ভীষনভাবে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল
কিন্তু প্রাণের কোনও লক্ষণ ছিল না।
হতাশায় ভরা যেন কিছু যান্ত্রিক রোবট।
চাওয়া পাওয়ার হিসাবটাই
মানুষ প্রথমে বুঝতে পারে নি,
এককথায় বুঝতে চায় নি।
মরীচিকার মত তার পিছে
বোকার মত ছুটে মরেছে,
জন্ম হয়েছে বেদনার, হতাশার।
গর্ভগৃহও তার ধারণ ক্ষমতা হারিয়েছে
পুঞ্জীভূত বেদনা, হতাশার চাপে
সে হয়ত একদিন সশব্দে ফেটে যাবে
বাঁচার অযোগ্য হবে সেদিন
আজকের এই পৃথিবী’ ।
তারপর? তারপর কি হবে কে জানে?
হয়তো বা সেটা হবে শেষের শুরু,
নতুবা হবে সেটা অন্তিম লগ্ন।
আগামী জবাব দেবে তার।