অনুভূতি

অপেক্ষা

প্রকৃতি নানান রূপে, নানান বর্ণে আমাদের সামনে আসে আর ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ পাল্টায়। কখনও আমরা তার সেই অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দেখে মোহিত হই, কখনও বা তার করাল রূপ দেখে ভয় ভীত হই। অথচ প্রকৃতির সেই দিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই, সে নেচে চলে নিজের মনে নিজের আনন্দে। সৃষ্টিকর্তা যেন আপন খেয়ালে প্রকৃতিকে নিয়ে খেলা করেন, সাজান নিজের খুশীমতন। তবে কোথাও যেন সৃষ্টিকর্তার মনেও যেন একটা ছটফটানি, সম্পুর্ণ নতুন করে ভেঙ্গে চূড়ে প্রকৃতিকে গড়তে চান। কিন্তু ধ্বংসের চাবিকাঠি তো তাঁর হাতে নেই, সে তো বিশ্বপিতার কাছে। তাই তিনি অপেক্ষা করছেন সেই ধংসের যার পর পূর্ণোদ্যমে সৃষ্টিকর্তা আমার মাতবেন সৃষ্টির খেলায়।

পড়ন্ত বিকালের আলোয়
দিন যখন রাত্রির বুকে
ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়,
বর্তমান হয়ে যায় অতীত
ভবিষ্যতের হাতছানিতে,
গোধূলির মায়াবী রঙে যখন
আকাশ বাতাস ধরিত্রী উদ্ভাসিত
চারিদিকে এক মায়াময় পরিবেশ,
সৃষ্টিকর্তা তখন বসে থাকেন আনমনে
সম্পূর্ণ একা, বিষণ্ণ, উদাসীন।

সর্ব্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি সৃষ্ট হয়ে গেছে
আর তার হাতে কোনও কাজ নেই,
শুধু আছে অসহনীয় অপেক্ষা।
কবে ধ্বংস, ছারখার করবে তার সৃষ্টি
মাতবেন সৃষ্টিকর্তা আবার সৃষ্টির খেলায়,
ততদিন শুধু অপেক্ষা, খালি অপেক্ষা।

One thought on “অপেক্ষা

Comments are closed.