পাকদণ্ডী
পাকদণ্ডী কথাটার মধ্যেই যেন মায়াবী আবেশ আছে। পাহাড়ের বুক চিরে এঁকেবেঁকে উঠে যাওয়া রাস্তার মধ্যে এক অদ্ভুত হাতছানি আছে। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মন চলে যায় সেই কবেকার ভুলে যাওয়া ঘুমপাড়ানি গানের দেশে, খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো, শত চেষ্টা করেও যার নাগাল পাওয়া যায় না। সময় বয়ে গিয়েছে অনেক। অস্তমিত সূর্য্যের রক্তিম আভায় ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হতে থাকা পাকদণ্ডী মনটাকে টেনে নিয়ে যায় অনেক দূরে, এক নিস্তব্ধ শূণ্যতার জগতে।
ঘুমপাড়ানি এক আবছা গানের সুর
মনের মধ্যে সব সময় ঘুরপাক খায়
ঠিক পাহাড়ের পাকদন্ডী বেয়ে
ধীরে ধীরে উপরে উঠে যাওয়ার মত।
মনে হয় খুব কাছে, আসলে অনেক দূরে
নাগাল পাওয়ার শত চেষ্টা, তাও নাগালের বাইরে।
পশ্চিমাকাশ অস্তমিত সূর্যের রঙ্গে রাঙ্গা
পাখিরা যে যার নীড়ে যাচ্ছে ফিরে
তাদের হৃদয়েও আছে অনেক সুর
পাকদণ্ডী টাও অন্ধকারে যাচ্ছে মিলিয়ে
সবাই ঘুমের জগতে পড়বে ঢলে
শুধু একা জেগে থাকে মন।
চারিদিকে এক অমোঘ শূন্যতা নিস্তব্ধতা
চোখ বুঝে আসে এক অদ্ভুত আবেশে
স্বর্গীয় সুরের সাথে মিশে যায় মন
ঘুমপাড়ানি এক আবছা গানের সুর
মনের মধ্যে আজ ও ঘুরপাক খায়
যেখানে সময় থমকে এক জায়গায়।