অবান্তর প্রশ্ন
মাঝে মধ্যে আমাদের মনে নানানা রকম প্রশ্ন জাগে যা অবান্তর বললে অত্যুক্তি হবে না কিন্তু জাগে। কেন জাগে, কি জন্য জাগে সেটিও কিন্তু অবান্তর প্রশ্ন, যার কোনও উত্তর হয় না। আমাদের জীবনে, প্রকৃতিতে, বহির্জগতে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে যা আপাতদৃষ্টিতে দৈনন্দিন, নিয়মমাফিক, অতি সাধারণ মনে হলেও তা কিন্তু অনাদিকাল ধরেই ঘটে চলেছে এবং এক মূহূর্তের জন্য তার চ্যুতি হয় নি। সেখানে বিশ্রামের বা ছুটী নেবার কোনও গল্পই নেই যা সাদারণ বুদ্ধিতে বোঝা দুষ্কর কিন্তু সেটাই সত্য। এরকম হাজারো জাগতিক, অতি জাগতিক ঘটনা যা চ্যুতিবিহীন ভাবে ঘটে চলেছে সেটাই হয়তো নিষ্কাম কর্ম্মের পরিভাষা।
অস্তমিত রক্তিম সূর্য্য
পশ্চিমাকাশ লাল করে
তুমি রোজ অস্ত যাও,
আবার পূবের আকাশে
মায়াবী রঙ ছড়িয়ে
রোজ জেগে ওঠ,
নিয়ম বেঁধে, নিয়ম মেনে।
তারপর সারা দিনমান
আকাশের বুকে তোমার উপস্থিতি।
বাঁধাধরা এই নিয়মের,
ব্যতিক্রম কখনও হয়না তোমার।
শ্রান্তিহীন, ক্লান্তিহীন
তোমার এই পথচলা,
কখনো কি হয়না মনে
আজ তুমি নেবে বিশ্রাম,
ঘুমিয়ে থাকবে সারাদিন।
পৃথিবীও না হয় ঘুমাবে
সেইদিন, পুরোটা দিন।
জানি তুমি করবে না সেটা
কার কাছে তোমার এত দায়বদ্ধতা?
সাধারণ মানুষ আমি
নানান প্রশ্ন জাগে মনে।
নিষ্কাম কর্মের পরিভাষা কি
তা বোঝা বড়ই দুস্কর,
মহাবিশ্বের নিয়মকানুন
সে তো বিধাতারই কর্মকান্ড।
তাঁরই সৃষ্ট ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র
এক মানুষের মনে
এ প্রশ্ন জাগা কি অবান্তর?