অশরীরী
ভুত বা অশরীরি নিয়ে বিভিন্ন মতামত থাকলেও বেশীর ভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন যে এরকম কিছু একটি ঋণাত্মক শক্তির অস্তিত্ব আছে যার প্রমাণ অনেকেই পেয়েছেন। আশ্চর্য্যজনক ভাবে কোনও পরিতক্ত পোড়ো বাড়ী বা নির্জ্জন জায়গায় বিরাট কোনও গাছের সাথে এঁদের অস্তিত্বর কথা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। এরকম ই কোনও পোড়োবাড়ীকে কেন্দ্র করে লেখকের কল্পনা ও বাস্তবের রূপায়ন এই কবিতাটি যেখানে ভাঙা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবিম্বহীন লেখক ও সারা দেওয়াল জুড়ে ঘুরে বেড়ানো অশরীরির ছায়া মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
পোড়ো বাড়ীর পলেস্তারা খসা দেওয়াল বেয়ে
একটা ছায়া বেড়াচ্ছে ঘুরে
নেই তার কোনও আকৃতি, নেই কোনও অভিব্যক্তি
শুধু ছায়াটাই আছে, কায়া নেই।
লোকে বলে ও এক অশরীরি আত্মা
মুক্তির সন্ধানে বেড়াচ্ছে ঘুরে বহুদিন ধরে
তাহলে ঘরের দেওয়ালে কেন, যা মন্দির মসজিদ বা গির্জ্জায়
ওখানে নাকি মুক্তির চাবিকাঠি আছে।
একটা তাজা লাল গোলাপ দেওয়ালের সামনে রাখা
কে রেখেছে আর কেনই বা রেখেছে জানা নেই
হঠাৎ ভাঙ্গা আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি প্রতিবিম্ব নেই
ঘুরে বেড়াচ্ছে ছায়াটির সাথে সারা দেওয়াল জুড়ে।