বৈপরীত্য
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যদি আমাদের জীবনের পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো যে আমাদের জীবন এক অদ্ভুত বৈপরীত্যে ভরা। জীবনে যেমন হর্ষ -বিষাদ বেদনা আছে ঠিক-তেমনই আনন্দ উল্লাস ও আছে। মানুষে মানুষে যেমন ঘৃনা-দ্বেষ আছে ঠিক আবার মানুষ মানুষকেই প্রেম ভালোবাসায় দিচ্ছে ভরিয়ে। পৃথিবীর একদিকে যখন সন্ত্রাস, যুদ্ধ মানুষ ভয়ে কুঁকড়ে মরছে, ঠিক হয়ত তখন অন্য প্রান্তে বসন্ত এসেছে, চারিদিক ফুলে ফুলে ভরা মানুষ হাসছে, গাইছে, আনন্দ উদযাপন করছে। এই বৈপরীত্যের মাঝেই আমাদের পথ চলা, কিছু সময় কাটানো, তারপর বেলাশেষে নিজ আলয়ে ফিরে যাওয়া।
আগমনীর গান শোনা যাচ্ছে
সেটাকে ছাপিয়ে মাঝে মধ্যেই শব্দ,
গুলির আওয়াজ না ঢাকের বাদ্যি
মাঝে মধ্যেই গুলিয়ে যাচ্ছে ।
কাশফুল ও সাদা, কফনের কাপড়ও সাদা
দুইই শুভ্রবরণ অথচ কি বৈপরীত্ব।
একদিকে আনন্দের সমারোহ
আন্যদিকে সব হারানোর যন্ত্রণা,
সব সয়ে যায়,সব বয়ে যায়
কোনো কিছু স্থায়ী নয় সব সাময়িক।
একদিকে মানুষের হিংসার ফলশ্রুতি রক্তধারা
অন্যদিকে আগমনীর বিসর্জ্জনে সিঁদুর উৎসব,
দুইই টকটকে লাল।
শেষের মধ্যে শুরু, না শুরুর মধ্যে শেষ?
বোঝার চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই
দেখে যাওয়া ছাড়া ।
জন্ম মৃত্যুর মাঝখানের সময়টা
চুপচাপ চোখ বুঝে কাটানোটা কাপুরুষতা,
অথচ তোমার হাতে কিছু নেই,
এটাই জীবন।