ফিরে দেখা

বস্তি

রাস্তার ধারের বস্তিটির সামনে দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করতে হয় এবং আমার মত অনেকেই যাতায়াত করেন। বস্তিটির সামনে কিছু শিশু, উস্কখুস্ক চুল, নোংরা গা, কারও গায়ে জামা আছে কারও গায়ে তাও নেই, খেলাধূলা করে আর মুখে অশ্রাব্য গালাগাল। মাঝে মধ্যেই ভেতর থেকে মহিলার কান্না আর মারধোরের আওয়াজ পাওয়া যায়। বস্তির মানসিকতা আর কি। মনে মনে গালাগাল দিলেও ভাবি যে সবকটা গালাগাল আমিও তো জানি তাহলে শিখলাম কোথা থেকে? আর মারধোর, ব্যভিচার তো সমাজের সর্ব্বক্ষেত্রেই আছে তার সাথে বস্তির সম্পর্ক কোথায়। আসলে বস্তি একটা মনোভাব যা সবার মধ্যেই লুকিয়ে আছে এবং মাঝে মধ্যেই বেড়িয়ে পড়ে, বদনাম হয় বস্তিবাসীদের।

রাস্তার ধারে যাতায়াতের পথে বস্তিটা
একদল রুগ্ন শিশু নোংরা শরীর, উস্কখুস্ক চুল
কারোও গায়ে জামা আছে, কারোও গায়ে নেই
চীৎকার চেঁচামেচি করে খেলাধূলা করে
মুখে অশ্রাব্য ভাষা
ভদ্রলোকেরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় অম্লানবদনে
কানে আঙুল দিয়ে নয় কিন্তু
বলে বস্তির মানসিকতা, অসভ্য ছোটলোক।

ছোটলোকের সংজ্ঞা কি শুধুই অশ্রাব্য ভাষা?
তাহলে পৃথিবীটা তো ছোটলোকে ভরা।
শিক্ষার অভাব হলে তো অশিক্ষিত
তাও পুঁথিগত শিক্ষা যদি শিক্ষার মানদন্ড হয়।
আসলে শিক্ষা, অশিক্ষা, ছোটলোক, ভদ্রলোক সব আপেক্ষিক
নিজের নিজের মত করে তৈরী করে নেওয়া
মাঝে মধ্যেই মনে হয় পৃথিবী ভরে গেছে জঞ্জালে
প্রতিটি মানুষের মধ্যেই একটা বস্তি আছে।