ফিরে দেখা

কালো পাথর

মানুষ এক শৃংখলাবদ্ধ জাতি এবং সমাজবদ্ধ জীব। মানুষের মনের মধ্যে নানান চিন্তা ভাবনার সাথে কিছু বেয়ারা ইচ্ছা থাকে যেগুলো সমাজের নিয়মকানুন মানতে চায় না এবং মাঝে মাঝেই বেড়িয়ে আসতে চায়। বেড়িয়ে আসতে চাইলেও এক অদৃশ্য কালো পাথরে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বেরুতে পারে না ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এই বেয়ারা ইচ্ছাগুলো যদি বেরুতে পারতো তাহলেমানুষের মুখোশগুলো খসে পড়ে আসল মুখটা বেড়িয়ে পড়ে সত্য প্রকাশিত হত।

মনের ভিতরের বেয়ারা ইচ্ছাগুলো
এক নিকষ কালো পাথরে বারবার ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে,
বাইরে বেরুতে পারে না।
পাথরটা যে আছে বোঝা যায়
কিন্তু দেখতে পাওয়া যায় না,
অদৃশ্য অথচ ভীষণ বাস্তব।

বেয়ারা ইচ্ছাগুলো যদি বেরুতে পারত
তাহলে ভালমানুষের মুখোশটা
খুলে খসে পড়ে, আসল চেহারাটা
সবার সামনে বেড়িয়ে আসত।
সমাজের কাছে না হয় খারাপ হত
কিন্তু কৃত্রিম ভাবে বাঁচার থেকে
বরাবরের মুক্তি হত,
বাঁচার মতন বাঁচা হত।

সমাজ বড় না ভিতরের ইচ্ছাগুলো
এই দোটানায় দুলতে দুলতে
অনেকটা সময় বেড়িয়ে গেল।
মুখোশের আড়ালে নিকষ কালো পাথরটা
সেটাও একজায়গাতেই রয়ে গেল,
বেয়ারা ইচ্ছাগুলোও চুপ মেরে গেছে।
মুখোশ আর মুখ আর আলাদা নেই
এক হয়ে গেছে,
পরপারের ডাক যে এসেছে।

2 thoughts on “কালো পাথর

Comments are closed.