মাদল
কর্ম্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ঘুরে বেড়াতে হয় এবং নানানরকম অভিজ্ঞতাও হয়, লেখক ও তার ব্যতিক্রম নয়। এই ট্যুর গুলি কর্ম্মজীবনের অঙ্গ হলেও এর সাথে কোথাও যেন এক একাকীত্বের বেদনা মিশে থাকে। এইরকম এক ট্যুরে গরমকালের ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া গভীর রাতে দূর থেকে ভেসে আসা মাদলের বাজনার সাথে লেখক একাত্ম হয়ে যান।মন তাঁর চলে যায় সূদূর গৃহকোণে যেখানে লেখকের প্রিয়জনেরা অধীর আগ্রহে তাঁর ফেরার অপেক্ষায় বসে আছেন।
দ্রিদ্রিম দ্রিম দ্রিদ্রিম দ্রিম, বাজছে মাদল
গভীর রাতে নিশুতি রাতে বাজছে মাদল
কংক্রীটের এই জঙ্গলে ওরে বাজছে মাদল
ঘুম ভেঙ্গে যাওয় ,উতাল হাওয়ায় বাজছে মাদল।
ঝাঁকিয়ে মাথা দুলিয়ে শরীর বাজায় মাদল
মহুয়ার বন ডাকছে তাকে আয়রে পাগল
স্বপ্নমাখা সুদূর দেশের গ্রামখানি তার
দ্রিমি দ্রিমি রবে, দ্রিমি দ্রিমি স্বরে ডাকছে আবার।
এই শহরে কাজের ভীড়ে নেইকো সময়,
পরিশ্রমের যান্ত্রিকতায় দিন চলে যায়,
বিদ্রোহী মন, সইতে নারে মুক্তি যে চায়,
নিশুতি রাতে মাদলের তাল জাগায় তারে।
দ্রিদ্রিম দ্রিম, দ্রিদ্রিম দ্রিম বাজায় মাদল
গভীর রাত্ নিশুতি রাতে বাজায় মাদল,
কংক্রীটের এই জঙ্গলে ওরে বাজায় মাদল,
ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া, উতাল হাওয়ায়, বাজায় মাদল।