ফিরে দেখা

প্রতিবাদী

রাজা রাজ্য শাষণ করেন এবং প্রজারা তাঁর কথা মেনে চলেন এবং এই ধারণা অনাদিকাল থেকে চলে আসছে হয়তো সৃষ্টির আদিকাল হতেই তবে বিভিন্ন ভাবে। এটা সার্বিক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিন্তু আমরা যদি একটু অন্য ভাবে ভাবি তাহলে দেখবো যে আমরা প্রত্যেকেই নিজের জগতের রাজা, পওয়সাওয়ালা, সাদারণ মানুষ, রাস্তার পাগল, ভিখারী, ভবঘুরে সবাই সবাই, কারণ প্রত্যেককেই নিজের নিজের বাঁচার সংস্থানটা যোগাড় করতে হয় মানে ইংরাজী কথায় ম্যানেজ করতে হয়, এককথায় সবাই ম্যানেজার। রাজার ওপর যেমন কারোর কথার চলে না, ঠিক তেমনি নিজের জগতে কারোর কথা চলে না, আমি রাজা। কারোর প্রতিবাদ এখানে চলবে না, প্রতিবাদী তুমি তফাৎ যাও।

অনেক শুনেছি তোমার কথা
এবার আমার বলার পালা
দূর থেকে আসে ভেসে গম্ভীর আওয়াজ
চমকে তাকাই চারিদিকে
জনমানবহীন স্থানে কে বলে কথা?
কার এই প্রতিবাদী কন্ঠস্বর?
কার এত সাহস আমার রাজত্বে।

নিজের জগতে আমি রাজা
আমার শাষণ আমার শোষণ
সুখ-দুঃখ যন্ত্রণা সব আমার নিজস্ব
সব কিছু আমারই খেয়াল খুশীমত
আমাকে ঘিরেই আবর্তিত আমার জগৎ
সেখানে কারোও কোনোও নেই অধিকার
প্রতিবাদী যেই হও, দূর হঠো, যাও তফাৎ।