জীবন

আঘাত

মানুষ শারীরিক ভাবে আঘাত পেলে রক্তক্ষরণ, যন্ত্রণা হয় কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সে ক্ষত নিরাময় হয়ে যায় এবং সুস্থ হয়ে ওঠে। হয়তো বা ক্ষতচিহ্ন থেকে যায় কিন্তু বেদনার রেশটুকুও থাকে না। কিন্তু কেউ বাক্যবাণে বিদ্ধ হলে সেটি তার হৃদয়ে গিয়ে লাগে, হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সে ক্ষত, সে যন্ত্রণা বাইরে থেকে না বোঝা গেলেও সারা জীবন তাকে বয়ে নিয়ে চলতে হয়, তার কোনও উপশম নেই।চিতার আগুনেই সেই ক্ষতের নিস্পত্তি।

তীক্ষ্ণ শানিত তরবারি
আঘাত হানে তীব্র,
ক্ষতবিক্ষত করে শরীর,
রক্তস্নাত হয় ধরিত্রী।
কালের স্রোতে নিরাময় হয় ক্ষত
থেকে যায় শুধু ক্ষতের চিহ্ন,
তরবারির নিষ্ঠুরতার নিদর্শন।

মুখ নিঃসৃত কথা
সেতো আঘাত করে হৃদয়ে,
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয় অন্তর।
দগদগে ক্ষত হয় মনের গভীরে,
থাকে না তার কোন বাহ্যিক চিহ্ন।
অদৃশ্য সে ক্ষতের যন্ত্রণা
বয়ে নিয়ে যেতে হয়,
জীবনের শেষ দিন অবধি
শেষ নিঃশ্বাস পর্য্যন্ত।