অসময়ে যাওয়া
এই জীবনের রঙ্গমঞ্চে আমরা কুশী-লব বৈ কিছু নয়। বাস্তবের রঙ্গমঞ্চে যেমন একটি চিত্রনাট্য থাকে, বিভিন্ন চরিত্র থাকে এবং পরিচালক নিজের ভাবনা মিশিয়ে সেটিকে রূপায়িত করেন, আমাদের জীবন ও ঠিক তাই। তবে এখানে চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক একজন, যাঁকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে ভাবেন ও ডাকেন। তাঁকে দেখা যায় না কিন্তু কিছু মহাপুরুষ আছেন যাঁরা তাঁকে সবসময় উপলব্ধি করেন। আর আমরা যারা সাধারণ মানুষ এবং জীবনের যাঁতাকলে পিষতে থাকি তারা সেই অদৃশ্য শক্তিকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
রঙ্গমঞ্চে যেমন প্রতিটি চরিত্রের একটি নির্দিষ্ট সময় বাঁধা থাকে যার পর তার কোনও কাজ থাকে না ঠিক তেমনি আমাদের জীবনের রঙ্গমঞ্চেও ঠিক যতটুকু সময়ের জন্য আমাদের পাঠানো হয় ততটুকু সময় আমরা থাকি, তারপর আমাদের চলে যেতে হয়। এখানে সবকিছুই পূর্ব্বনির্ধারিত সুতরাং আমাদের কথা বলার বা শোনার কোনই অবকাশ নেই এবং চাইলেও আমরা আগে যেতে বা বেশী থাকতে পারবো না। জীবনের চলার পথের সাথীদের অনেক বক্তব্য বা চাহিদা থাকতেই পারে কিন্তু এক্ষেত্রে সবই নিস্ফল। প্রিয়জনের বিয়োগ বেদনায় শুধু একরাশ শূণ্যতা নিয়ে বেঁচে থাকা আর নিজের চরিত্রে অভিনয় করে যাওয়া।
চলে সবাইকে যেতেই হবে
কিন্তু অসময়ে চলে যাওয়া
সে ও মেনে নিতে হবে?
কোনও প্রতিবাদ করা যাবে না
করলেও কেউ শুনবে না
কারণ শোনার কেউ নেই।
আর করেই বা কি লাভ?
যে চলে গেছে সে আর কোনদিন
আসবে না ফিরে।
পাশে বসবে না, কথা বলবে না
মান,অভিমান,আদর,ভালোবাসা
সব কিছুরই তো পালা শেষ,
এখন শুধু একা বসে থাকা
নিঃসঙ্গ একাকী শূণ্যতায় ভরা জীবন
বয়ে নিয়ে যাওয়া
মেনে নিতে হবে
কোনও প্রতিবাদ করা যাবে না
কেউ শুনবে না।