একশো বিশ
একটা কথা আছে যে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। সত্যিই তো তাই ? কজন মানুষ জীবনে সুবিচার পান? কত শত সাধারণ নিরপরাধ লোক সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কালো হাতের ফাঁদে পড়ে অন্যায়ভাবে শাস্তি পেয়ে জেলের মধ্যে পচে মরে আর উদাস মনে ভাবে যে কি অন্যায়ে তার সাথে এত বড় অবিচার হল। এইভাবে জেলের মধ্যে থাকতে থাকতে একদিন সে নাম ধাম গোত্র হারিয়ে শুধুমাত্র কয়েদী নম্বরে পরিচিত হয়। তখন তার পৃথিবী বলতে কয়েদী নম্বর আর ব্যর্থ জীবনটাকে যন্ত্রের মত টেনে নিয়ে চলা।
কয়েদী নম্বর একশো বিশ
এই তার পরিচয় আজ
নাম ধাম গোত্র হারিয়ে গিয়েছে
পাঁচিলে ঘেরা ঘরের গরাদের আড়ালে।
অনেকটা সময়ই গেল কেটে
এই একশো বিশ পরিচয়ে
এছাড়া কি কোনও জীবন ছিল?
চোখের শূন্যতায় ঘুরপাক খায় সে।
ব্যর্থ জীবন এক টেনে চলে একশো বিশ
সুবিচারের আশা তো কবেই গেছে
অন্যায় অবিচারের কালো হাতের আড়ালে।
মৃত্যুও যেন তাকে দেখে মুখ লুকায় লজ্জায়,
বিনা দোষে পচছে শত শত একশো বিশ
বহু যুগ, বহু শতক ধরে।
Excellent 👌
বন্ধু তুমি লিখে যাও, তোমার লেখনি আরো ক্ষুরধার হোক এই কামনা করি। কয়েদী নং ১২০ একটি জলন্ত সমস্যা। আমরা বন্দীমুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে অনেক নিরপরাধ বন্দীর জন্য আওয়াজ তুলছি। এই মুহুর্তে বিনাবিচারে বন্দীর সংখ্যা ৪০০০০ এর বেশী। এর মধ্যে অনেকে ১০ বছরের বেশী। একটা ভয়ংকর তানাশাহী চলছে।