জীবন

ঘুঘু

ঘুঘু পাখিটা দেখতে বেশ ভালো, সুমধুর ডাক এবং শান্ত নিরীহ এক পাখি। সাধারণতঃ কোলাহল মুক্ত,শান্ত নির্জ্জন পরিবেশে এরা বিচরণ করে কিন্তু এখন সে সব না থাকায় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বারান্দায়, ব্যালকনীতে সুযোগ পেলেই বাসা বাঁধে। ছোটবেলায় গুরুজনদের বলতে শুনতাম যে যা পরিস্থিতি আসছে তাতে ভিটে মাটিতে ঘুঘু চড়বে। মানেটা পুরোপুরি না বুঝলেও এটা বুঝতাম যে এর সঙ্গে প্রতিহিংসাপ্রায়ণতার একটি যোগাযোগ আছে। আশ্চর্য্য লাগতো যে এতো সুন্দর পাখির সাথে এই অবিচার কেনো। বেশ কিছুদিন আগে অফিস ফেরতা পথে দেখি অফিসের বেড়াজালের কাঁটাতারের ওপর দুটো ঘুঘু বসে এদিক ওদিক দেখছে। বুকটা কেমন জানি ছ্যাঁৎ করে উঠলো এক অশনি সঙ্কেতে যার বহিঃপ্রকাশ এই লেখায়।

পাঁচিলের কাঁটাতারে দুটো ঘুঘু বসে
ভাবছে কোথায় চড়বে এবার,
চড়ে চড়ে ভিটেমাটি ভাগাড় করে দিয়েছে।
প্রাণের স্পন্দন আর কোথাও নেই,
চারিপাশে মৃত্যুর মিছিল।

শকুনের নজর ভাগাড়ের দিকে, ‌
শকুনের বংশেও মড়ক লেগেছে,
ওদের বাসাতেও যে ঘুঘু চড়েছে।

ঘুঘুর বংশ দ্রুত বাড়ছে
পৃথিবীতে থেকে যাবে শুধু ঘুঘুরা।