জীবন দর্শন
জীবন দর্শন আমার মত অতি সাধারণ মানুষের কাছে একটি অবোধ্য বস্তু, অথচ আমরা কি সুন্দর ভালোয় মন্দয় মিশিয়ে একটি পুরো জীবন কাটিয়ে দিই। জীবন, মানে জীবনের উৎপত্তি কোথায় প্রাণ কি, প্রানের উৎস কোথায়, কোথা থেকে আমরা এসেছি আর কোথায় বা যাই এসব ভাবতে বসলে মাথায় তালগোল পাকিয়ে যায় আবার বেশী ভাবলে লোকে পাগল বা আঁতেল যা কিছুই বলতে পারে। তাই বলি যে হয় সাধারণ মানুষ হয়ে বাঁচো বা এমন কিছু কর যাতে পরমাত্মার প্রাপ্তি হয়, এরকম মকাক হয়ে মানে না ময়ূর না কাক হয়ে ত্রিশঙ্কুর মত ঝোলার কোনও মানে হয় না। আরেকটি উপায় অবশ্য আছে, বিদেহী হয়ে ঘুরে বেড়ানো, যদি কেউ পারেন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। পরিশেষে বলি জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দৌড়াদৌড়ি করে লাভ নেই, যে কোনও একটি কে আঁকড়ে ধরে প্রাণ ভরে বাঁচুন।
ছুটে বেড়ানোর নাম জীবন
থামলে চলবে না,
থেমেছ কি মরেছ।
প্রাণবায়ু শরীর থেকে বেড়িয়ে
কোথায় বিলীন হয়,
এই নিয়ে ভাবা চলবে না,
পরকাল নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেনা,
প্রশ্ন করেছ কি মরমে মরেছ।
একদল পাগল বলে গালাগালি দেবে,
আরেকদল আঁতেল বলে নাক সিঁটকাবে।
গালাগাল আর আঁতেলের
মাঝখানের জায়গাটা খুঁজতে খুঁজতে
জীবন কেটে যাবে।
ত্রিশংকুর মত ঝুলতে ঝুলতে
পরমাত্মার ধারে কাছে পৌঁছলে না
আবার মানুষ হয়েও থাকলে না,
অনেকটা মকাক মানে কাকের শরীরে
ময়ূরের পালক গুঁজে জীবন কাটালে।
তাই বলি, হয় ছুটে বেড়াও
নতুবা মরে গিয়ে, বিদেহী হয়ে
ঘুরে বেড়াও,
পরলোক নামে গল্পের বাগিচায়।
জীবন আর মরণের মাঝে
বোকার মত আর দৌড়িও না
একটাকে আঁকড়ে ধর প্রাণপনে
জীবন বা মরণ, যেটাকে পছন্দ।