জীবন

সংহার

শাসকের রক্তচক্ষু দিয়ে
আগুন পড়ছে ঝরে ঝরে
হাত পায়ের তীক্ষ্ণ শাণিত নোখে
রক্ত মাংস আছে লেগে
একটা প্রাণ ও নেই অক্ষত
সবাই ভীত সন্ত্রস্থ
শাসকের কোপ।

ওই অদূরে গাছের ছায়ায়
গরীব এক রাখাল ছেলে
আদুর গায়ে বাজাচ্ছে বাঁশী
একতানে, একমনে
ভ্রুক্ষেপ নেই কোনদিকে
ভয়ডরহীন বালক সে এক।

জিজ্ঞাসা করি তাকে
ভয় নেই কি তার কোনও
বাজায় বাঁশী এই অবেলায়
যদি শাসক এসে ধরে
অবাক বিস্ময়ে তাকায় বালক
শাসকভীতি সে আবার কি
সঙ্গীতে সম্মোহিত সারা পৃথিবী
সঙ্গীতের পূজারী সে।

কৃষ্ণরূপ দর্শন করি
সেই নিষ্পাপ মুখ দেখে
ভয়-ডর হয় দূর
কোনও অদৃশ্য শক্তি বলে ওঠে
জীবন সংগ্রামে এগিয়ে চল
রুখে দাঁড়া লড়াই কর
সবার মধ্যে শক্তি আছে
একবার শুধু জাগা তাকে
শাসকের হবে সংহার।