পাকদণ্ডী

জীবন এর চলার পথে কিছু ভাবনা কিছু কথা

জীবনটা শুরু হয়েছিলো নবদ্বীপের তামালতলার এক একান্নবর্তী পরিবারে কিন্তু জ্ঞান থেকে বাবার কর্ম্মসূত্রে দমদম বিমানবন্দরের কোয়ার্টাসে বাস। সেখানেই পড়াশুনা বন্ধুবান্ধব বেড়ে ওঠা সবকিছু। এরোপ্লেন বা উড়োজাহাজের সাথে পরিচিতি তখন থেকেই। শিশু মন অবাক বিস্ময়ে ভাবতো যে অতবড় উড়োজাহাজ টা আকাশের বুকে ওড়ে কি করে, তাহলে আমিও তো পাখা লাগিয়ে উড়তে পারি। কতবার যে পাখীর মত হাত নাড়াতে নাড়াতে মাঠ দিয়ে দৌড়ে আকাশের বুকে ওড়ার চেষ্টা করেছি তার হিসাব নেই। সেসব কথা ভাবলেই এখন হাসি পায়। তারপর অনেক সময় কেটে গেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স গ্রাজুয়েট হয়ে এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করে নানান লাইসেন্স পরীক্ষার ম্ধ্য দিয়ে গিয়ে অবশেষে কর্ম্মজীবন এরোপ্লেনের রক্ষণাবেক্ষণ করেই কাটিয়ে দিয়ে বর্তমাবে অবসর জীবন যাপন করেই সময় কাটছে, শখ হিসাবে টুকটাক লেখা।

তবে এটি বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে ডানা মেলে ওড়ার অলীক স্বপ্নটা সেই ছোটবেলা থেকে আজও রয়ে গেছে বুকের মধ্যে, এই পরিণত বয়সেও। হয়ত বা সেই স্বপ্নের আংশিক পূরণ হয়েছে কর্ম্মজীবনে আকাশের বুকে ওড়া উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নির্বাহ করে কিন্তু ডানা মেলা হল না তো আর। আজ এই প্রৌঢ় বয়সে যখন পিছন ফিরে তাকাই, জীবনের চড়াই উতরাই এর অধ্যায়গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করি, জীবনটাকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি তখন মনে হয় যে জীবন যেন পাহাড়ের বুকে আষ্টেপৃষ্টে জড়ানো পাকদন্ডী বেয়ে পথ চলা যার শেষ ডানা মেলে উড়ে যাওয়াতেই।

ফিরে চাওয়া

March 26, 2024April 27, 2024

আমরা মাঝে মধ্যেই অতীত কে নিয়ে ভাবি বা বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনের সাথে ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে কথা বলি। জীবন ধারণের তাগিদে আমাদের প্রত্যেককেই বিভিন্ন ঘটনা, স্থান