প্রকৃতি

অলস দিন

প্রতিটি দিন কেমন একটা আলসেমীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দিনের আলসেমী না মনের আলসেমী যে কোনও কিছু একটা হতে পারে কিন্তু অলস দিন বলা যেতেই পারে। আসলে নিয়ম মেনেই দিন রাত হয়, ঋতু বৈচিত্র আসে। কখনও প্রকৃতি শান্ত শীতল, কখনও চারিদিক সবুজ, ফুলে ফলে ভরা আবার কখনও বা তার শুষ্ক রুক্ষ রূপ। অথচ আমাদের তো প্রকৃতির এই সব রূপ গুলিই কম বেশী চেনা, কোনও বৈচিত্র নেই। এই বৈচিত্রহীনতা থেকেই কি এই অলস ভাব। আসলে সব কিছুই নির্ভর করে মানুষের মনের ওপর, আর মন যদি সতেজ থাকে তাহলে এই বৈচিত্রহীনতার মধ্যেই সে বৈচিত্রের সন্ধান পায়, জীবনের মানে পালটে যায়। একটি স্ফুলিঙ্গের দরকার যে অলস মনে একটা স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে আগুন জ্বেলে মনটা আলোকিত করে দেবে, উজ্জ্বল আলোয় ভরে যাবে সারা পৃথিবী।

আরেকটা অলস দিনের শুরু,
পলাশ শিমূলের বন লালে লাল,
চারিদিকে যেন আগুন লেগেছে।
বসন্তের কোকিল ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়ে
চুপ মেরে গেছে। তপ্ত মাটির ঘ্রাণে
যেন তার বিদায়ের সুর বাজছে।
আরেকটা অলস দিনের শুরু।

এলোমেলো ভাবনাগুলো বিবাগী মনের পিছনে
দিশাহীণ ভাবে বেড়াচ্ছে ছুটে, স্থিতু হবার আশায়।
মনেও ফাগুন লাগে, সেখানেও বসন্ত আসে,
তবে সেও সাময়িক, খালি পালাই পালাই ভাব।
কি যেন এক অজানার তরে মন ছটফট করে
সারাটি জীবন অধরার পিছনে ঘুরে মরে,
আরেকটা অলস দিনের শুরু।

আরেকটা অলস দিনে ভাবে বসে মন
এ দিনটাও কেটে যাবে প্রতিটি দিনের মতন।
সূর্য্য উঠবে, সূর্য্য ডুববে, রাত কেটে গিয়ে ভোর হবে
গতানুগতিক জীবন, আসা আর চলে যাওয়া শুধু।
বৈচিত্রহীনতায়, একঘেয়েমিতে ভুগছে এ পৃথিবী
একটা স্ফুলিঙ্গের আশায় হাপিত্যেশ করে বসে বর্তমান
আরেকটা অলস দিনের শুরু।