বাবুইটা
ছোট্ট একটা বাবুই
বেঁধেছে তার বাসা
ছোট এক দেবদারু গাছে।
বাইরে থেকে বাসাটাকে
রোজ দেখি,মন ভরে না
বাসার ভিতরটা দেখার
তাই সাবধানে চেষ্টা করি ।
পরগৃহে উঁকি ঝুঁকি মারা
ঠিক নয় একেবারে,
তবুও মাঝে মধ্যেই
সেই ভুলটাই করে ফেলি।
বাবুই পাখিটার ঘরসংসার
যদি দেখতে পাই,
সেই সুযোগে্র অপেক্ষায় থাকি
বৃথাই গিয়েছে সেই প্রচেষ্টা।
সেদিন সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ দেখি
বাবুইটা বসে তার বাসার কাছে,
এর আগে তার সাথে
আমার কোনদিন হয়নি দেখা।
কেমন জানি আমার দিকে
একদৃষ্টে চেয়ে আছে,
ভৎর্সনার দৃষ্টি তার চোখে, মুখে।
ভালো করে দেখার জন্য
বাবুইটার দিকে গেলাম এগিয়ে,
ভয় পেয়ে উড়ে না গিয়ে
বসে রইল একেবারে ডেঁটে।
রেগেমেগে বলছে যেন
হতে পারি আমি ছোট্ট বাবুই
তাই বলে কি আমার আব্রু নেই?
আমাদের প্রেম, ভালবাসা, সোহাগ
নির্ল্জ্জের মত লুকিয়ে দেখবি?
তোর কি লজ্জাসরম কিছু নেই রে?
অসভ্য বেহায়া মানুষ।
সত্যি বলতে বড় লজ্জা হল
মাথা নীচু করে চোখ নামিয়ে
ওখান থেকে পালিয়ে বাঁচলাম
ঘুরে তাকানোর সাহস হয়নি।
ছোট্ট বাবুই এর বাসাটা
এখনও সেখানেই আছে,
যাতায়াতের রাস্তার পাশে।
দূর দিয়ে হেঁটে যাই
আচমকা যদি চোখ যায়
তক্ষুনি চোখ সরিয়ে নিই,
লজ্জায়, ভয়ে যদি বাবুইটার সাথে
আবার চোখাচুখি হয়ে যায়।