বালাসন
কর্ম্মসূত্রে বহুবার বাগডোগরা গিয়েছি আর বিমানবন্দর আমার কর্ম্মক্ষেত্র হওয়ায় রোজ যাতায়াতের পথে বালাসন নদীটিকে অতিক্রম করতে হত। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ঋতুতে নানান রূপে বালাসনকে আমি দেখেছি। হয়তো সেই অর্থে সে বিরাট গভীর বা প্রশস্ত নয় কিন্তু সে পাহাড়ী নদী, তার মধ্যে একটা আলাদা সরলতা বা বন্যতা আছে যা আমাকে বারবার আকর্ষণ করতো।
বালাসন, পাহাড়িয়া বালাসন
পাহাড়ের বুক চিরে
ধেয়ে চলে, বেয়ে চলে
কলকল, ছলছল ,
ঝরঝর, সরসর
ভাঙ্গে পাড়,ভাঙ্গে ধার
ধুপধাপ, মড়মড়।
ঝরণা হয়ে ঝর
খরোস্রোতা নদী তুই,
ছুটে চল, জোরে চল
বালাসন, পাহাড়িয়া বালাসন।
বুকে নিয়ে শত নুড়ি
বিধাতার কারিগুরি
ঘোলাজলে নুড়ি তোলে
ন্যাংটো ছেলের দল
দিশাহীন বাধাহীন
উদ্দ্যাম বেদুইন
তিরতির তিরতির
বয়ে চল, রয়ে চল
বালাসন, পাহাড়িয়া বালাসন।
পাহাড়ের গান নিয়ে
জ্যোৎস্নার স্নান নিয়ে
কুয়াশাকে গায়ে মেখে
বর্ষাকে ধরে বুকে
পাগলা দামাল নদী
টলটল, উচ্ছল
কোথা যাস তুই বল
বালাসন পাহাড়িয়া বালাসন।