খোলা জানালা
খোলা জানলা খোলা মনেরই প্রতিভূ মনে হলেও তাদের মধ্যে বিস্তর তফাৎ। খোলা জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখা যায় কিন্তু খোলা মনের অনুভূতি মানুষকে অনেক কিছু বুঝতে সাহায্য করে। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে আমরা জাগতিক ঘটনাবলীকে অনুধাবন করি কিন্তু খোলা মনের অনুভূতির ব্যপ্তি বা গভীরতা অনেক বেশী। দিন রাতের স্বপ্ন, নিস্তব্ধ রাত্রির কান্না, ঊষা বা গোধূলির ডাক শুনতে হলে খোলা মনের দরকার, খোলা জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তাকে বোঝা সম্ভব নয়। জানলা বন্ধ করে আমরা বহির্জগত থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে পারি কিন্তু চোখ বন্ধ করে খোলা মনে আমাদের কাছে সব কিছুই দৃশ্যমান।
খোলা জানালা দিয়ে
আকাশটা দেখি,
সামনের খোলা মাঠ
যতটুকু পারি।
শালিক, চড়ুই, ঘুঘু
আরও কত পাখী,
ঘরের মধ্যে বসে
কাঠবিড়ালীর আনাগোনা
বেড়ালের তাড়া করা,
জানালায় বসে বসে
চুপ করে দেখি।
কতশত আওয়াজ শুনি,
দিনের বেলায় পাখীর কিচির-মিচির
রাত্রে মন্দিরের ঘন্টা, শঙ্খের ধবনি।
দিনের শব্দ, রাতের শব্দ
সব একেবারে খুব বেশি চেনা,
বুঝতে পারি চোখ বন্ধ করে
কে ডাকছে আমায়, ঊষা না গোধূলি।
খালি কান্নার শব্দ
সয় না আমার একেবারেই।
গভীর নিশুতি রাতে যখন
নিস্তব্ধতার কান্না শুনি,
চুপ করে উঠে
জানালা বন্ধ করে দিই
কান্নার শব্দ আর কানে আসে না
নিশ্চিন্তে ঘুমায় পৃথিবী।