লাভা
ধরিত্রীর বুক ফেটে তার অন্তরের ক্ষোভ
যখন গরম লাভার আকারে আকাশে বাতাসে
উৎক্ষিপ্ত হয়, সূর্য্য লুকায় মুখ অন্ধকারে,
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা গরম লাভার স্রোত
গিলে খায় জনপদ,নদী,নালা, বনপ্রান্তর
তখন একাত্ম হই আমি তার সাথে।
আমি এক অতি সামান্য মানুষ
আমার অন্তরের ক্ষোভ চীৎকার হয়ে
বেরিয়ে আসে বাইরে, কেঁদে মরি হতাশায়
নিজের অকর্ম্মণ্যতার, অক্ষমতার লজ্জায়
নিজেকে ধ্বংস করে চাই ফেলতে
পিছু টেনে ধরে এক অজানা বন্ধন।
দুচোখ বেয়ে আসে নেমে ক্লান্ত অশ্রুধারা
ক্ষোভ হয় প্রশমিত, শান্ত হয় মন
আবার দাঁড়াই উঠে নতুন সূর্যোদয়ে
পূর্ণ উদ্যমে জীবন ডাকে আয় আয়
আলিঙ্গন করি তাকে মন-প্রাণ দিয়ে
গরম লাভার স্রোত হয় প্রস্তরীভূত
সাক্ষী হয়ে ক্ষোভ হতাশার।