প্রকৃতি

মরুদ্যান

আজ থেকে কিছু বছর আগেও চারিপাশ অনেক বেশী খোলামেলা ছিলো, মাঠ-ঘাট, পুকুর, গাছপালায় ভরা, এখনকার মত কংক্রীটের জঙ্গলে ভরে যায় নি যেখানে সামান্য একটু সবুজে নিঃশ্বাস নেবার জন্য হাঁসফাস করে মন। এর মধ্যেও তাঁরা ভাগ্যবান যাঁরা তাঁদের বাড়ী বা ফ্ল্যাটের সামনে একটি ছোট মাঠ আছে বা একটা সবুজ গাছপালায় মোড়া জায়গা আছে যেখানে আনাগোণা থাকে নানান ধরণের পাখি, কাঠবিড়ালী ও ছোটোখাটো প্রাণীর। এই কংক্রীটের জঙ্গলের যান্ত্রিক সভ্যতার মাঝে একটুকরো ছোট্ট প্রাণচঞ্চল সবুজ যেন মরুভূমির মাঝে মরুদ্যান, যে মনের গ্লানি অনেকটাই দূর করে মুখে হাসি যোগায়।

কংক্রীটের জঙ্গলের মাঝে
কিছু সবুজ জায়গা এখনও আছে
তার পাশেই আমার ঘর
ঘরের সামনের ছোট্ট মাঠটায়
যেটা ঘেরা নানান রকম ফুলের গাছে
দেখি একটা ঘুঘু আর একটা শালিক
পাশাপাশি খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে
যেন ওরা অনেকদিনের বন্ধু।

মাঠের পাশের পাঁচিলটায়
যেটা দিয়ে আমার বন্ধু ছোট্ট কাঠবিড়ালী
রোজ কিচকিচ করতে করতে দৌড়ায়
সেই পাঁচিলটায় একটা টুনটুনি বসে
ঘুঘূ আর শালিকের খাওয়া দেখছে
ভাব করতে চায় বোধহয়

হঠাৎ দেখি দুটো চড়াই
কোথা থেকে উড়ে এসে
পাঁচিলটার সামনের ট্যাঙ্কটায় বসল
একটা সাদা কালো ছোট্ট পাখি
এদিক থেকে ওদিক উড়ে চলে গেলো
এর সাথে কাকের কর্কশ কা কা ডাক
পায়রার বকম বকম তো লেগেই আছে

আস্তে আস্তে রোদের তেজ বাড়লো
পাখিগুলো উড়ে সব গাছের ছায়ায়
আমার ঘরের দরজা জানলাও সব বন্ধ
বাতানুকুল যন্ত্র চলছে
নিজের টুকটাক কাজ সারছি
ছোট মাঠটা আমার কাছে মরুদ্যান
প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটছে বেশ