নীলকন্ঠ
পুরানে কথিত আছে যে সমুদ্র মন্থনের এক পর্যায়ে সমুদ্র থেকে তীব্র হলাহল বা বিষ উত্থিত হলে তার বিষাক্ত নির্যাসে দেবতারা অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁদের সেই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে দেবাদিদেব মহাদেব সেই তীব্র হলাহল পান করেন এবং সেটিকে নিজের কন্ঠে ধারণ করেন। হলাহলের তীব্র প্রকোপে তাঁর কন্ঠ নীলবর্ণ ধারণ করে এবং মহাদেব নীলকন্ঠ নামে পরিচিত হন।
বর্তমান সমাজের ঠিক একই পরিস্থিতি। হিংসা দ্বেষ হানাহানি ঘৃণায় আকাশ বাতাস কলুষিত, চারিদিক যেন বিষ বাস্পে ভরে গেছে। এক নীলকন্ঠই পারেন সমাজকে উদ্ধার করতে এবং সঠিক দিশা দেখাতে।
তীব্র হলাহলে দূষিত এই পৃথিবী
চারিদিকে শুধু বিষ বাস্প
আন্তর্হিত আকাশের নীলিমা
আকাশ আজ রাতের চেয়েও কালো
সূর্য্যের আলোও বড় ম্রিয়মাণ
নীলকন্ঠকে খুঁজছে অসহায় প্রাণীকুল
কোথায় পাবে দেখা তার।
এই পরিস্থিতি তো মানুষেরই সৃষ্ট
বাকী যত প্রাণ আছে এই সুন্দর পৃথিবীতে
তারা তো করেনি কোনোও দোষ
কেনো তারা শাশ্তি পাবে মানুষের অন্যায়ের
আর থেকো না নিশ্চুপ নীলকন্ঠ, এসো একবার
আর একবার পান কর যত হলাহল
বাসযোগ্য হোক আবার এ পৃথিবী।
মনুষ্যহীন কর এই পৃথিবীকে
সেটাই উপযুক্ত শাস্তি হবে তার।