প্রকৃতি
এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছেন যাঁদের প্রকৃতি বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য টানে না। চার দেওয়ালের মাঝখানের দৈনন্দিন জীবনে বৈচিত্র থাকলেও তার মধ্যে যেন একটা গতানুগতিকতা থাকে যেখানে থাকতে থাকতে জীবন হাঁফিয়ে ওঠে আর তার থেকে মুক্তি পাবার জন্য মন আনচান করে। আর তাই তো আমরা বেড়িয়ে পড়ি, গিয়ে দাঁড়াই খোলা আকাশের তলায় মুক্ত বাতাসে প্রকৃতির মাঝে, বুক ভরে নিঃশ্বাস নিই। মনটা আবার সতেজ তরতাজা হয়ে যায়, জীবনের মানে খুঁজে পাই, নতুন উদ্যমে আবার বাঁচার চেষ্টা করি।
আমাদের চারিপাশে যে প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানে গাছপালা, পশু-পাখী, ফুলফল, মাঠ-ঘাট,পুকুর, জীবনের জন্মলগ্ন থেকে যাদের দেখে আসছি কি অসাধারণ বৈচিত্রে ভরা, ক্ষণে ক্ষণে তাদের রূপ পাল্টায়। তাদের সারাদিন ধরে দেখলেও এক মূহূর্তের জন্যও ক্লান্তি আসে না, তাদের মধ্যে গিয়ে দাঁড়ালে মনের সকল বেদনা, দুশ্চিন্তা, ভাবনা নিমেষে কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়। এক অকৃত্রিম ভালোবাসায় ভরে যায় মন। কোথা থেকে আসে এত ভালোলাগা বা ভালোবাসা কে জানে।
মাঝে মাঝে বাস্তববাদী, যুক্তিবাদী এই আমি নিজের কাছেই বড় অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হয় মনের অবস্থান কোথায় বা আমির স্বরূপ খোঁজবার চেষ্টা করে। ভাবতে ভাবতে সব যখন তালগোল পাকিয়ে যায় তখন যুক্তিবাদী বা অনুসন্ধিৎসু এই আমি, যার স্বরুপ সে নিজেই জানে না, সব কিছু যুক্তি-তর্ক দূরে সরিয়ে রেখে প্রকৃতির কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে শান্তি পায়।

বহুদিন বহুকাল ধরে
একসাথে চলেছি পথ তোমার সাথে
সবসময়ই আছ তুমি চোখের সামনে
তবু প্রতি মূহুর্তে তোমাকে নতুন লাগে
দেখি দুচোখ ভরে।
এ কি ভালো লাগা না ভালোবাসা
না মনের গভীর অন্তঃস্থল থেকে উঠে আসা
এক অনন্যসাধারণ অনুভূতি
মনের অবস্থান কোথায়? শরীরে না অন্তরীক্ষে
ধন্দে পড়ে যাই আমি
এই আমিরই বা স্বরূপ কি? কে জানে।
সব কিছু দ্বিধা দ্বন্দ দূরে সরিয়ে
তাই আঁকড়ে ধরেছি তোমাকে বাহুপাশে
মন আর শরীর দুই দিয়ে
যতবার তোমাকে দেখি
ততবারই নতুন লাগে
দেখি প্রাণভরে।