অভিমানীনি
সেদিনের বিকেলের আকাশটা ছিলো কালো মেঘে মোড়া, চারিদিকে একটা থমথমে গুমোট ভাব। যে কোনও মূহুর্তে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামবে। সবার ছিলো ঘরে ফেরার তাড়া, আমিও ছিলাম তাদেরই দলে। হঠাৎ চোখ চলে গেলো রাস্তার ধারে এক খোলা জানলায়। দেখি এক গৃহবধূ উদাস নয়নে জানলার শিক ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে । তারও মুখ ছিলো ঠিক আকাশের মত কালো থমথমে। অভিমান, কে জানে? যে কোনও মূহুর্তে হয়ত বারিধারার মত অশ্রুধারা নেমে আসবে তার গাল বেয়ে,অভিমান প্রশমিত হবে,মুখে ফুটে উঠবে হাসি, ঠিক যেমন অবিশ্রান্ত বৃষ্টিধারার পর দেখা যায় রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ, ঝলমলে দিন।
বৃষ্টি কিন্তু হল না, সেই কালো আকাশ থমথমে ভাবটা রয়েই গেছে। কে জানে সেই অভিমানীনির মানভঞ্জন হল কি না। এই হাসি কান্নায় ভরা আমাদের জীবন, এরই মাঝে চিরন্তন প্রেম ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।
আকাশে জমেছে কালো মেঘ
ঠিক যেন অভিমানী প্রিয়ার
থমথমে কালো মুখ।
এখনি নামবে বৃষ্টি অঝোর ধারায়
বৃষ্টির শেষে মেঘমুক্ত ঝলমল আকাশ,
মুছে দিয়ে যতসব গ্লানি
আবার উঠবে হেসে চারিধার।
বৃষ্টি নামব নামব করেও নামল না
মেঘাচ্ছন্ন ই রয়ে গেল আকাশ
চারিদিকে থমথমে গুমোট ভাব,
ভুল বোঝাবুঝির হয়নি অবসান
কোন মন্ত্রবলে নামবে বৃষ্টি
হাসবে আকাশ
হাসিমুখে প্রিয়া তাকাবে আবার
সেই অপেক্ষায় বসে থাকা।
হাসি কান্নার এই খেলা
এই অনন্ত প্রতীক্ষা, চেয়ে থাকা
এরই মধ্যে আছে লুকিয়ে
চিরন্তন ভালবাসা।