আদুরে পরশ
কোনও এক শীতের হিমেল কুয়াশার জ্যোৎস্না আলোকিত রাত্রে সারা পৃথিবী যখন মায়াবী রূপ ধারণ করে তখন অদ্ভুত এক আবেশে মনটা ভরে যায়, মনে হয় খালি সেই অনিন্দ্য সুন্দর রুপ প্রাণভরে উপভোগ করি। মাঠের ধারের সেই চেনা পোড়ো বাড়ী, তার পাশের সেই শতাব্দী প্রাচীন বুড়ো নিমগাছ সেও যেন বড় জীবন্ত হয়ে উঠে কত প্রেমের গল্প শোনায়। ণিশাচর পাখির কর্কশ ডাক, সেও যেন মধুর লাগে। উদাসী মন এখানে সেখানে নেচে বেড়ায়। এই বিভোর ভাবেই সময় যায় কেটে। ধীরে ধীরে কুয়াশা প্রশমিত হয়, দিনের আলো ফুটতে শুরু করে। সেই মায়াবী রূপ ও অন্তর্হিত হয়, জীবন ফিরে আসে কঠোর বাস্তবে। পিছু রেখে যায় অঙ্গীকার আবার হবে তো দেখা, এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো।
কুয়াশায় ঢাকা আদুরে রাত
হিমের পরশ গায়ে মেখে
জ্যোৎস্নার সাথে খেলে লুকোচুরি
যেন তারা বন্য প্রেমিক যুগল
বহুদিন পরে হয়েছে যে দেখা
একে অন্যের উত্তাপ নেয় প্রাণভরে।
নিশাচর মন যায় উড়ে
এদিক ওদিক বেড়ায় ঘুরে
বসে গিয়ে সেই পোড়ো বাড়ীটার
ঈশান কোণের বুড়ো নিমগাছটার
নুয়ে পড়া চেনা গাছটার ডালে
দোল খায় আপনমনে।
রাতজাগা এক বেয়াদপ পাখী
কর্কশ স্বরে ওঠে ডেকে
যেন কোনো অতৃপ্ত বাসনা
কুয়াশাকে ভেদ করে যায় ছুটে
বলে আমিও তো বাঁচতে চেয়েছিলাম
তোমাদেরই মত ভালবেসে।
অবশেষে মন ফেরে নিজ ঘরে
কুয়াশাও যায় কেটে ধীরে
জ্যোৎস্নাও পারি দেয় আপনদেশে
পিছে রেখে যায় অঙ্গীকার
আবার যে হবে দেখা
কোনোও এক হিমেল রাতে
মাটীর ওপর নদীর ধারে।