একাকী নদীর ধারে
প্রকৃতি সত্যি অপরূপা যে ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় এবং মানুষ তার মধ্যে খুঁজে পায় অপার এক শান্তি। এই শহরের কোলাহল থেকে অনেক দূরে, এক গ্রাম্য চেনা নদীর ধারে পড়ন্ত বিকালের আলোয় মন মাঝে নাঝে নিজেকে খুঁজে পায়। তিরতির করে বয়ে চলা নদীর জলে অস্তমিত সূর্য্যের আলো আর নদীর বুক বেয়ে চলা নৌকার মাঝির দূর থেকে ভেসে আসা গান এক স্বপ্নিল আবশে মনটাকে ভরিয়ে দেয়। মন চলে যায় ভেসে দূরে বহুদূরে এক মায়াবী জগতে। এই অনুভূতি নির্জ্জনতার, একান্তই নিজেরযেখান থেকে সে আর ফিরতে চায় না তবু ফিরতে হয়।
মেঘলা দিনের পড়ন্ত বিকালে
আছি বসে চেনা নদীর ধারে
মাঝে মাঝে ঝিরঝিরে বৃষ্টি
হালকা ভিজে বাতাস
আমার শরীরটাকে করছে আদর
তোমার মতন করে।
দূর আকাশে সাতরঙা রামধনু
আবার কখনও বা মেঘের গর্জ্জন
বিদ্যুতের চমকানি
তারি মাঝে কুলুকুলু করে
নৌকা বাইতে বাইতে মাঝির
মন উদাস করা গানের সুর
দুহাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আমি
চোখ বুজে করি প্রকৃতিকে আলিঙ্গন
এক অনির্ব্বচনীয় আনন্দে মন যায় ভরে
সন্ধ্যা হয়ে রাত নামে
বসে আছি নদীর ধারে
নিঃশব্দে একাকী।