একটি মূহুর্ত
সূর্য্য পশ্চিমাকাশে পড়েছে ঢলে
দাঁড়িয়ে ছিলাম জনবহুল রাস্তার মোড়ে
কর্ম্ম-ব্যস্তময় দিনের শেষে, বাড়ী ফেরার পথে।
বাস,গাড়ী,ধোঁয়া, লোকজন, গালাগালি, চীৎকার
কারুর তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই
শহর চলেছে নিজের তালে।
বাবু, একটা গোলাপ নেবে ?
তাকিয়ে দেখি শীর্ণা, মলিনা
ছিন্নবস্ত্রা পরিহিতা এক অসহায়া যুবতী
একটি টকটকে লাল গোলাপ বাড়িয়ে আ্মার দিকে
চোখে মুখে কাতর অনুনয়
“ বাবু একটা গোলাপ নাও
দশ টাকা দাম মাত্র।“
মুচকি হেসে বললাম তাকে
তুমি এই প্রৌঢ়কে গোলাপ দিতে চাও?
সলজ্জ, আড়ষ্ট নয়নে বলল সে
সাধ থাকলেও সে সাধ্য কি আমার আছে,
যে আমি তোমাকে গোলাপ দেব।
বেঁচে থাকার জন্য ভালোবাসা বেচি আমি
বরং তুমি একটা গোলাপ নাও কিনে।
দশ টাকা দিয়ে গোলাপটা নিলাম কিনে
হাতে নিয়ে তার দিকে বাড়ালাম
বললাম, গোলাপটা আজ না হয় আমি তোকাকে দিলাম।
অবাক নয়নে সে আমার দিকে চাইলে
গোলাপটি নেওয়ার সময় তার আঙ্গুলের ছোঁয়া কি লাগলো?
দ্রুতলয়ে ফিরে যেতে যেতে মাঝপথে
আচমকা কেন যে ফিরে তাকালো।
অনেক না বলা কথা রয়ে যায়
অনেক সুপ্ত বাসনা অকালে ঝরে যায়
দিন মাস বছর যায় কালের নিয়মে কেটে
ঘটনা প্রবাহে জীবনের তরী ভাসতে থাকে
কখনও বিষণ্ণ বিকালে উদাস মনে
ফিরে যাই ফেলে আসা দিনগুলির মাঝে
বাবু, একটা গোলাপ নেবে। হৃদয়ে কেন যে বাজে।