মেলবন্ধন
পার্থিব শরীর যা করতে চায় না বা করতে পারে না তার মন, ভাবনার ডানায় ভর করে সেখানে যায়, নিজের ইচ্ছামতন ঘুড়ে বেড়ায়। শরীর হয়ত তাকে পিছু টেনে ধরতে চায় কিন্তু উচাটন, চঞ্চল মনকে বাঁধবে তার কি সাধ্য। এই টানাপোড়েনের খেলা চলতেই থাকে, আমি দূরে বসে দেখি আর হাসি।
ভাবনার স্রোতে নিরন্তর বয়ে যাওয়া
কখনও হৃদয় মাঝে, কখনও আকাশে ওড়া
বার বার বয়ে গেছি নদীর ধারায়
বয়ে গেছি পাহাড়, জঙ্গল, সমতল উপত্যকায়
অবশেষে পড়েছি গিয়ে বিশাল সাগরে
ছোট বড় ঢেউয়ের মাথায় বেড়িয়েছি ঘুরে ঘুরে
দূর থেকে বহুদূর, আরও দূরে।
ক্লান্ত হয়ে বসেছি কখনও কোনও বটবৃক্ষের তলে
অথবা বেড়িয়েছি ছুটে নিশুতি রাতে কংক্রীটের জঙ্গলে
কখনও চলেছি আমি নিদ্রাহীন, ক্লান্তিহীন পথ
আবার ঘুমিয়ে পড়েছি শান্তিতে কোনও সুখী গৃহকোণে
উন্মত্ত ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছি অচেনা প্রিয়াকে
পেয়েছি নিজেকে ধ্যনমগ্ন পারস্য দেবতার কাছে
বহুরূপে, বহুভাবে দেখেছি নিজেকে।
শরীর আর ভাবনায় নেই কোনও মেলবন্ধন
একজন সময়ের নিয়মে বাঁধা, অন্যজন বন্ধনহীন উচাটন
দুইয়ের এই বৈপরীত্য লাগে ভালো বেশ
আমাতেই শুরু তার আমাতেই শেষ।