স্বপ্নিল চোখ

ছেলেটির উজ্জ্বল দুটি চোখে
ভরা ছিল ঘন নীল আকাশ,
যতই আকাশ কালো মেঘে
ঢেকে যাক,
দুচোখে তার ছিল স্বপ্নের বাস।
নীলাকাশে সে দেখত মেঘের খেলা
অস্তগামী সূর্য্যের অপরূপ রূপ,
ঊষার আলোকে দু বাহু প্রসারিত করে
জানতে চাইত পরমাত্মার স্বরূপ।
কালবৈশাখীর ঘন কালো আকাশে
অবাক হয়ে দেখত সে
ঘরে ফেরা সাদা বকের সারি।
ছুটে যেত তাদের পিছনে, যতদূর পারে
ঝড়ে পড়ে যাওয়া পাখীর ছানাকে
সযত্নে আসত রেখে তার বাসার পরে।
রাতের কৃষ্ণকালো আকাশের দিকে
চেয়ে চেয়ে তারা গুনত একা একা।
পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় মুক্ত আকাশের নীচে
জ্যোৎস্না-স্নাত সে ছিল যেন এক পরমপুরুষ
স্বপ্নালু চোখে, স্বপ্নের দুনিয়ায় বেড়াত ভেসে।
মাঝে মাঝে মন খুঁজে মরে
সেই আত্মভোলা নিস্পাপ ছেলেটিকে
হারিয়ে সেতো যায়নি আজও আছে
তোমার আমার মধ্যে, অবচেতন মনে
একদিন ঠিক তার পাবে দেখা।